ছাতকে রহস্যজনক কারনে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ পেট্রোলের আগুলে পুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃত্তরা। এতে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্রসহ দু’লক্ষাধিক টাকা মুল্যের মালামালও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভস্মিভুত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কি কারনে এ ঘটনা ঘটছে এর কোন কারন জানা যায়নি। শনিবার ভোরে উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দক্ষিন বড়কাপন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী না থাকায় শনিবার ভোর রাতে দুর্বৃত্তরা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে কক্ষের ভেতর থাকা আসবাবপত্রসহ যাবতীয় মালামাল ও কাগজপত্রে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে আগুনের লেলিহান শিখাও কক্ষ থেকে বেড়িয়ে আসা ধোয়া দেখে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন। প্রায় আধঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার আগেই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের যাবতীয় কাগজপত্র ও মালামাল ভস্মিভুত হয়। দূর্বৃর্ত্তদের দেয়া আগুনে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে থাকা একটি সরকারী ল্যাবটপ, একটি প্রজেক্টর, ২টি আলমিরা, চেয়ার-টেবিল, বে , ডেস্ক, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির কার্ড, জন্মনিবন্ধন সনদ, খাতাসহ সরকারি ও ভুমি সংক্রান্ত কাগজ-পত্র পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এতে দু’লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জহুর আলী জানিয়েছেন। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ছাতক থানায় একটি জিডি করেছেন। জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আবু আফসার ভূইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন, সদস্য আব্দুন নুর শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পেট্রোলের গন্ধযুক্ত ৫ লিটারের একটি খালি কন্টেইনার উদ্ধার করে পুলিশ। একটি সুত্র জানায়, বিদ্যালয়ের ভুমি সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে স্থানীয় একটি পক্ষের সাথে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতে বিচারাধীন একটি মামলাও রয়েছে। ভুমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে পারে কি না বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্যে প্রশাসনের প্রতি এলাকাবাসী জোর দাবি জানাচ্ছেন।